তৃণমূল নেতাদের নিশানায় সুব্রত ! শামসুল হুদার সুরে সুর কানাইয়ের

নিজস্ব সংবাদদাতা, সাগরদিঘিঃ মৃত্যুর পরেও নেই ছাড়। এবার  তৃণমূল নেতাদের নিশানায় প্রাক্তন মন্ত্রী সুব্রত সাহা।  মুর্শিদাবাদ জেলার প্রথম ঘাস ফুল ফুটিয়েছিলেন সুব্রত সাহাই।   ২০১১ সালে ঘাসফুল প্রতীকে   সাগরদিঘি থেকে মুর্শিদাবাদ জেলার একমাত্র তৃণমূল বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন সুব্রত সাহা। এরপর ২০১৬, ২০২১ সালেও জেতেন ওই কেন্দ্র থেকে । বিধায়কের মৃত্যুতে সাগরদিঘিতে হয় উপনির্বাচন। উপনির্বাচনে হারে তৃণমূল। তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস ব্যানার্জিকে হারিয়ে জয়ী  হয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। এবার হারের জন্য প্রাক্তন মন্ত্রী সুব্রত সাহাকেই দায়ী করলেন সাগরদিঘিতে তৃণমূলের নতুন ব্লক সভাপতি শামসুল হুদা।

বুধবার সাগরদিঘিতে তৃণমূলের নতুন সভাপতি হিসেবে নাম ঘোষণা হয়েছে শামসুল হুদার।  দায়িত্ব নিয়েই বিস্ফোরক বয়ান দিলেন  শামসুল হুদা । ব্লক সভাপতি হয়েই দাগলেন তোপ।  কেন হার হয়েছিল সাগরদিঘিতে ? প্রশ্নের উত্তরে শামসুল হুদার  নিশানায় প্রয়াত মন্ত্র সুব্রত সাহাই। শামসুল হুদার সাফ কথায়, ” (হারের পিছনে)  সুব্রত সাহার দায়ও কম ছিল না। ১২ বছরে সাগরদিঘিতে একটা   বুথ কমিটি ছিল না। আজ পর্যন্ত একটা বুথ কমিটি নেই, অঞ্চল, ব্লক কমিটি নেই। সাংগঠনিক দুর্বলতাই  প্রধান কারণ। দ্বিতীয় কারণ পঞ্চায়েতে এক শ্রেণীর মানুষের দুর্নীতি।” দলের পঞ্চায়েত কীভাবে চলছে সেই প্রশ্নও তুলে দিয়েছেন নতুন ব্লক সভাপতি। টেনেছেন শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকাও । শামসুল হুদা বলেন, ” শুভেন্দু অধিকারীর   পাপের প্রায়শ্চিত্ত  করলাম এই উপ নির্বাচনে । ২০১৮ সালের যে পঞ্চায়েত  নির্বাচন হয়েছিল সেই নির্বাচনের সময় জেলায় পর্যপেক্ষক ছিলেন   শুভেন্দু অধিকারী। সেই সময়ের   প্রার্থীরা   লুটপাট করেছে”। পঞ্চায়েতে দুর্নীতিকেও হারের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন শামসুল হুদা।

অভিষেক সফরের পরে, সাগরদিঘিতে তৃণমূলের নতুন ব্লক সভাপতি হলেন শামসুল হুদা। সরিয়ে দেওয়া হল আগের ব্লক সভাপতি দেবাশিষ ব্যানার্জীকে। বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থীও হয়েছিলেন দেবাশিস। দলের জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দেবাশিস ব্যানার্জিকে। সামশুল হোদার মন্তব্য সমর্থন করেছেন দেবাশিসও।

ব্লক সভাপতির কথা কার্যত সমর্থন করেছেন দলের জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান কানাই চন্দ্র মন্ডলও। নবগ্রামের বিধায়ক, জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান কানাই মন্ডল বলেন, “হারের কারণ হচ্ছে,  সাগরদিঘিতে ব্লক কমিটি , বুথ কমিটি ছিল না। তাঁর (সুব্রত সাহার) কথাতেই যাতে পছন্দ হতো তাঁকে বসানো হয়েছে, অপছন্দ হলে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পার্টি গড়ে  তোলার কথা ভাবেন নি তিনি”।